আমার আজকের কাজের হিসাব:
১.২বেড, ১ড্রয়িং, ১ডাইনিং, ১বারান্দা, ১রান্নাঘর ঝাড়ু দেওয়া ও মোছা
২.এক বালতি কাপড় কাচা
৩. ঘরের সব ফার্নিচার মোছা
৫. ৩ পদ রান্না
৬. ২ বাথরুম ক্লিন করা
৭. থালা বাসন মাজা
৮. হসপিটাল ডিউটি:২ ঘন্টা
৯. গাছের পরিচর্জা
১০.এক্সারসাইজ :১ঘন্টা
এতো সব করেও আমি এক্সারসাইজ বাদ দেই নি। খুব খুব সমস্যায় না পড়লে আমি বিগত ১০ মাসে একদিন ও এক্সারসাইজ বাদ দেই নি। মিনিমাম ১ ঘন্টা এক্সারসাইজ করি। কারন আমি এক্সারসাইজ ইনজয় করি। এটা আমাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রশান্তি দেয়। স্ট্রেস কম করে। এক্সারসাইজ না করলে আমার ভালোই লাগে না, ঘুম আসে না, কেমন কেমন যেন লাগে।
এতো কথা বলার উদ্দেশ্য একটাই, আমরা অনেকেই এক্সারসাইজ কে বার্ডেন মনে করি, ব্যস্ততার অজুহাতে এক্সারসাইজ কে ছেড়ে দেই। কিন্তু ইচ্ছা শক্তি আর অভ্যস্ততা হলো আসল কথা। এক্সারসাইজ কে আমরা যদি আমাদের প্রাত্যহিক কাজ মনে করি তাহলে তা কখনো আমাদের জন্য বার্ডেন হবে না। আমরা যেমন প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করি, গোসল করি, বাথরুমে যাই, যতো ব্যস্ততায় থাকি না কেন খুব তাড়াতাড়ি হলেও আমরা কিন্তু এগুলো বাদ দেই না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে সকালে দাঁত ব্রাশ না করে বাইরে যায়। কারন এগুলো আমাদের অভ্যাস।
তেমনই মিনিমাম ১ ঘন্টা এক্সারসাইজ কে যদি আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাসে পরিনত করতে পারি তবে এটা যেমন আমাদের শারীরিক ভাবে ভালো রাখবে তেমনি মানসিক ভাবেও ভালো থাকার প্রেরণা যোগাবে, কর্মক্ষমতা বাড়াবে, স্ট্রেস কম করতে সাহায্য করবে…আর সময় বের করার জন্য ভাবতে হবে না, কারন আমরা আমাদের অভ্যস্ততা কে কখনো ছাড়তে পারি না।
#আসুন_এক্সারসাইজ_কে_হ্যা_বলি_অলসতা_কে_না_বলি#
#সুস্থ_থাকি_স্লিম_থাকি_ফিট_থাকি#